মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ১১নং পেড়লী ইউনিয়নের উত্তর খড়লিয়া চর পাড়া গ্রামের মৃত গহুর মোল্ল্যার স্ত্রী হতদরিদ্র ভুমিহীন বিধবা তহমিনা বেগমের শেষ সম্বল পরের জায়গায় থাকতে দেওয়া জমির মালিক ওই জমি ও সাথে থাকা নদীর পাড়ের খাস জমি টুকু কেড়ে নিয়ে তার বসত ঘরটা ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে গিয়ে বিধবা তহমিনা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি দীর্ঘ ২০বছর যাবৎ ধর্ম আত্মীয় ইসমাইল মিনার জমিতে বসবাস করে আসছি, এর পাশে নদীর খাস জমি। তিনি মারা যায় এখন তার ছেলেরা নাকি জমি বিক্রি করে দিয়েছে , শুনতে পাই এই জমি কিনেছে মো: এনাই শেখ, পিং মৃত ইনতাজ শেখ, মাহামুদ পিং অজ্ঞাত, ও ইনামুল মোল্ল্যা, পিং মনিরুল মোল্ল্যা, আব্দুল।
এনারা জমিটি কিনে ওই জমিতে থাকা ২০ বছরের বসবাস রত বিধবা মহিলা তহমিনার বসত ঘর ভেঙ্গে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানান। এসময় বিধবা তহমিনা বেগম বলেন, ৩/৪ জন মিলে আমাকে অনেক দিন যাবত বলে আসছে তোমার বসত ঘরটা সরিয়ে নিয়ে যাও, এবং বলেন এই জায়গা আমরা কিনেছি,তখন তহমিনা বেগম তাদের কে বলেন আমি বিধবা মানুষ আমার ছেলে সন্তান নেই প্রতিবন্ধী মেয়েটা নিয়ে কোথায় যাবো, এরপর তহমিনা বেগম বলেন একদিন আমি বাড়ি না থাকায় দিনের বেলাতেই আমার বসত ঘরটা ভেঙে ফেলে দিয়েছে।
এখন আমি খড়লিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলে কিছু দিন থেকে, পরে সুভার ঘোপ আমার বিধবা মায়ের জায়গায় কোন রকম একটা ঘর বেঁধে থাকি। এসময় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লোকের সাথে কথা হলে তারা বলেন তহমিনা বেগম একজন অসহায় ব্যক্তি সে যদি নিজে কাজ করে খাবার আনতে পারেন তবে খায়,
না হলে না খেয়ে থাকতে হয় তার।এসময় তারা আরো বলেন এখানকার স্থানীয় ওই লোক জন ওই মহিলার উপর অবিচার করেছে, ওই মলিহার একটা প্রতিকার হওয়া উচিৎ। এ বিষয় নিয়ে বর্তমান জমির মালিক দের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা জমি টাকা দিয়ে কিনেছি, ও তহমিনা বেগমের সাথে কথা বলে তার ঘর সরিয়ে দিয়েছি।
বিধবা তহমিনা বলেন, আমি বিধবা, আমার পরের জায়গায় থাকা ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে, আমার বিধবা ভাতা কার্ড নাই, একটি পঙ্গু মেয়েকে নিয়ে কোন রকম দিন অতিবাহিত করছি।পরের বাড়ীতে কাজ করে খাওয়া ই আমার এক মাত্র অবলম্বন। তহমিনা আরো বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়, পুলিশ সুপার মহোদয় ও এমপি মহোদয় এর কাছে বিনীত অনুরোধ যাতে আমাকে সরকারি জায়গায় একটি ঘর করে ও আর্থিকভাবে সহায়তা করেন, যাতে করে আমার পঙ্গু মেয়েটিকে নিয়ে বাকি জীবনটা অতিবাহিত করতে পারি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।